রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
(জামান মৃধা, নীলফামারী প্রতিনিধি):- নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান রোপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সোমবার (৩০শে জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন আমিন পাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পঙ্কজ ঘোষ জেলা প্রশাসক নীলফামারী। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মো. সেকেন্দার আলী, অতিরিক্ত সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান, বাবু নীরেন্দ্রনাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সিদ্দিকা, উপজেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার (মিন্টু), উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দসহ উপকারভোগী কৃষকগণ। এ সময় স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মো. সেকেন্দের আলী বলেন, সমলয় চাষাবাদের মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরের রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে ৫০ একর জমি ডিমলা ব্লকে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র দ্বারা রোপণ করা হবে। উল্লেখ্য, উপজেলার সদর ইউনিয়নের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন আমিন পাড়া এলাকার ৫০ জন কৃষক চলতি মৌসুমে ৫০ একর জমিতে যান্ত্রিক উপায়ে সমলয় পদ্ধতির এসএল-৮-এইচ হাইব্রীড জাতের বোরো ফসলের আবাদ করছে। গত ২৮ই ডিসেম্বর সাড়ে ৪ হাজার ”ট্রে’’তে বীজতলার বীজ বপন করা হয়। আজ সোমবার উদ্বোধনীর মধ্য দিয়ে উৎপাদিত চারা মেশিনের সাহায্যে রোপন করা হবে। এই পদ্ধতিতে ২ জন শ্রমিক ১ ঘন্টায় ১ বিঘা জমির ধানের চারারোপন করতে পারে। এতে ১ লিটার তেল খরচ হয়। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ১২ ইঞ্চি, চারা থেকে চারার দূরত্ব ৮ ইঞ্চি। এতে উৎপাদন খরচ অনেক কম এবং ফলন অনেক বেশি হয়। অন্য পদ্ধতিতের চেয়ে এ পদ্ধতিতে হেক্টর প্রতি নূন্যতম ৫শ কেজি ধান বেশি উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগের কর্তকর্তারা জানিয়েছেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।